আশুলিয়ায় একই দিনে শিশু-কিশোরীসহ ৩ জন ধর্ষণের শিকার!
সাভারের আশুলিয়ায় একই দিনে পাঁচ বছরের এক শিশুসহ দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার পৃথক মামলা করেছে। নির্যাতিতা শিশু গার্মেন্টস কর্মী দম্পতির মেয়ে এবং অন্য দুইজন হস্তশিল্প শ্রমিক বলে জানা গেছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়া থানায় পৃথক মামলা করেন নিহতের পরিবার। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল আশুলিয়া ইউনিক ও জামগড় এলাকার দরগারপাড় এলাকায় ৫ তলা ভবনের চারতলার একটি ফ্ল্যাটে পাঁচ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে দুই কিশোর।
আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট ফকিরবাড়ি মসজিদের কাছে রুবেল হেয়ার ক্যাপ হস্তশিল্প এলাকার সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন (৩৮) ও শ্রমিক আরিফ হোসেন (২৫)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া জামগড় এলাকার ধনবাড়ী গ্রামের দুলালের ছেলে নাজমুল হোসেন (১৪) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের দুটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ও ভিকটিম দীর্ঘদিন ধরে ‘রুবেল হেয়ার ক্যাপ’ হস্তশিল্প কোম্পানিতে চাকরি করছিলেন। পরে আরিফ তার বান্ধবী ও সুপারভাইজার মোক্তার হোসেনকে কারখানা থেকে আশুলিয়া ইউনিকের আরেক শ্রমিক নিয়ে আসতে বলেন। সেখান থেকে তাকে দরগারপাড় এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের ৪র্থ তলায় নিয়ে যায়। এরপর ৯ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ওই দুই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় নির্যাতিতারা। খবর পেয়ে নিহতের পরিবার তাদের উদ্ধার করে থানায় মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে, একই দিনে আশুলিয়ার জামগড় এলাকায় ৫ বছর বয়সী গার্মেন্টস শ্রমিক দম্পতির মেয়ে প্রতিবেশী এক কিশোরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আউয়াল জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে হতাহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।